ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

লামার একমাত্র অভয়ারন্য থেকে পাথর উত্তোলন করায় ক্ষুব্ধ উপজেলা চেয়ারম্যান

মনির আহমদ: চকরিয়া :

366পার্বত্য লামা উপজেলার অভয়ারন্যের সাংগু মৌজা এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলে ও চকরিয়া ভিত্তিক একটি সিন্ডিকেট গত দুইমাস ধরে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে।অভয়ারন্যের ভিতরে বারুদের বিষ্ফোরন ঘটিয়ে পাথর উত্তোলন করায় হুমকির মূখে পড়েছে জীববৈচিত্র। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে পাথর উত্তোলন অব্যহত রাখায় লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সুত্র জানায়, চকরিয়া পৌরসভার পুর্ব পালাকাটা গ্রামের দলিলুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট সরকারী বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে দুইমাস যাবৎ লামার অভয়ারন্যের সাংগু মৌজার পাহাড়ের ঝিরিতে বারুদের বিষ্ফোরন ঘটিয়ে পাথর উত্তোলন করে প্রথমে ওই এলাকার ওলামং মার্মার রাবার বাগানের খামার, মোক্তার সওদাগরের খামার ও বনফুর বাজারের উত্তর পার্শ্বে মজুদ করে। ঐসব জায়গায় পাথর ভাঙ্গার মেশিন দিয়ে পাথর ভেঙ্গে সুযোগ বুঝে রাতের আঁধারে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ দিয়ে আসছে।
এ সংবাদের ভিত্তিতে একদল সাংবাদিক উক্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলে পথিমধ্যে দেখা হয় লামার উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনি অং চৌধুরীর সাথে। পাথর উত্তোলন ও বেচা বিক্রী সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা কালে তিনি বলেন, সরকারী অনুমোদন ছাড়া চকরিয়া ভিত্তিক একটি সিন্ডিকেট প্রশাসনের সামনে দিয়ে পাথর সরবরাহের কারবার করে যাচ্ছে এতে জীব বৈচিত্রের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করে বলেন,পার্বত্য লামার সাংগু মৌজা উপজেলার একমাত্র অভয়ারন্য। ঐ এলাকা থেকে পাথর উত্তোলনের কারনে যে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে তার গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রচার করে প্রশাসনের দৃষ্টিতে আনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কোন অবস্থায়ই ওই এলাকা থেকে পাথরের পারমিট দেয়ার সম্মতি দেবনা।
অপর দিকে এলাকাবাসিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অভয়ারন্যের পাথর উত্তোলনকারীদের আস্তানাগুলো এখন অপহরনকারীদের আস্তানায় পরিনত হয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করছে।

পাঠকের মতামত: